শাহানুজ্জামান টিটু: [৩] সরকার পতনের আন্দোলনকে দুই পর্বে ভাগ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। ১৭ ডিসেম্বর  মনোনয়ন পত্র প্রত্যাহারের শেষ দিন পর্যন্ত প্রথম পর্বের আন্দোলন এবং দ্বিতীয় পর্বের আন্দোলন হবে ৭ জানুয়ারি ভোটের দিনকে টার্গেট রেখে। এরমধ্যেও যদি সরকার বিরোধী দলের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ না করে তাহলে ভোটের পরেও আন্দোলন অব্যাহত খাকবে। 

[৩] সম্প্রতি রাজধানীতে নির্বাচন বর্জনকারি দলগুলোর শীর্ষনেতাদের সাথে বৈঠক করেছে বিএনপি। ওই বৈঠকে যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলোর বাইরে থাকা জামায়াতে ইসলাম  ও  ইসলাম শাসনতন্ত্র আন্দোলনসহ অন্যান্য দলগুলোকে নিয়ে এক সঙ্গে মাঠে নামার পরিকল্পনা করছে বিএনপি। এনিয়ে শরিকদলগুলোর সাথে বিএনপির হাইকমান্ডের আলোচনা চলছে।  যোগাযোগ রাখা হয়েছে ইসলামী আন্দোলনসহ নির্বাচন বর্জনকারি দলগুলোর সাথেও।  

[৪] ৭ জানুয়ারি  ভোট প্রতিহত করতে ভোটের দিন ও এরআগে পরে ধারাবাহিকভাবে অবরোধের পাশাপাশি হরতালের মত কর্মসূচি দেওয়ার বিষয় দলগুলোর সাথে আলোচনা চলছে। এছাড়া চলমান এক দফার আন্দোলনে গতিশীলতা বাড়াতে এখন থেকে অবরোধ ও মাঝে মাঝে হরতাল এবং বিক্ষোভ  কর্মসূচি চলমান থাকবে। 

[৫] বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের এক নেতা জানান, সরকার যেহেতু বিরোধী দলের দাবি উপেক্ষা করে যেভাবে এক তরফা নিবার্চনের পথে হাঁটছে, তাতে আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত ফেরার কোন সুযোগ নেই।  সরকার দল ভাঙ্গার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে। ফলে তৃণমুল থেকে কেন্দ্রে পর্যন্ত সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের মনোবল আগের চেয়ে চাঙ্গা হয়েছে। 

[৬] নেতাদের মাঠে না থাকার বিষয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, সরকার নানাভাবে প্রলোভন এবং সরকারের নানা নীলনকশা বাস্তবায়নে বিরোধী নেতাদেরকে গ্রেপ্তারর করে, অত্যাচার নির্যাতন, ভয়ভীতি দেখিয়ে যাতে জোরপূর্বক নির্বাচনে না নিতে পারে এজন্য অনেক নেতাই আত্মগোপনে ছিলেন। মনোনয়ন পত্র জমা হয়েছে। এখন কিছু কিছু দলের নেতাকে আন্দোলেনে দেখা যাবে। তবে সবাইকে না। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব